অফিস ডেস্ক
পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি ঃ- গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে উৎপাদন পর্যায়েই এখন সবজির দাম বেশি কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চড়া দামের কারণ সরবরাহ ঘাটতি ও বারবার হাতবদল।
উৎপাদন পর্যায়েই এখন সবজির দাম বেশি। ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছাতে সেই দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায় কৃষক, পাইকারি বিক্রেতা, আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সব ধরনের সবজিই আছে পলাশবাড়ী খুচরা বাজার এ।
তবুও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে। কৃষক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছাতে তিন থেকে চারবার হাতবদল হচ্ছে।এতেই তিন থেকে চার গুণ দাম বেড়ে যাচ্ছে। তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে আরও বেশি। ফড়িয়াদের দৌরাত্ম্য, আড়ত এবং বাজারে চাঁদাবাজি দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে।
কালিবাড়ি বাজারের বিক্রেতা মো. রঞ্জু বলেন, কৃষকরা প্রথমে সবজি স্থানীয় বাজারে নিয়ে আসেন। সেখানে ফড়িয়া বা পাইকারদের সিন্ডিকেট কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কিনে যায়। পরে ভ্যানে বা পিকআপে বাজারে আনা হয়, সেখানে আরও কয়েক হাতবদল হয়। এই চক্রে মূলত দাম বাড়ে।
বাজারেখুচরা বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া। ঘন ঘন হাতবদল, চাঁদাবাজি এবং বাজার তদারকির দুর্বলতার কারণে কৃষক থেকে শুরু করে ভোক্তাদের হাত পর্যন্ত সবজির দাম প্রায় চার গুণ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, আর ভোক্তারা বাধ্য হচ্ছেন অতিরিক্ত খরচ করতে। গতকাল পলাশবাড়ী কাচা বাজারে পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দফা হাতবদলে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কেজিতে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
পলাশবাড়ী পাইকারি বিক্রেতা চয়েন বলেন, গত দুই মাসে টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্ন সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। তাতে কৃষক পর্যায়েই সবজির দাম বেড়েছে। এ কারণে তারাও আগের তুলনায় বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছেন।
জানা যায়, উৎপাদন এলাকার মোকাম থেকে বাজারে পণ্য আসার পরও কয়েক দফা হাতবদল হয়।
পাইকারি থেকে অন্তত চারবার হাত বদল হয়ে তা ভোক্তার কাছে পৌঁছায়। যেমন ট্রাক ও ভ্যান থেকে প্রথমে পণ্য যায় আড়তে, সেখানে থেকে পণ্য কেনেন পাইকার বা ফড়িয়ারা। পরে ফড়িয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্য কিনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, চার দফা হাতবদলে দু-তিনজন মধ্যস্বত্বভোগী যুক্ত হন। প্রতি ধাপে দুই থেকে আট টাকা বা তার বেশিও দাম বাড়ে।
মধ্যস্বত্বভোগীরা কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে তিন থেকে চার গুণ লাভ করছে।