অফিস ডেস্ক
৭১ ভিশন ডেস্ক:-মার্কিন সরকারে অচলাবস্থা (শাটডাউন) আবারও রেকর্ডসংখ্যক দিন অতিক্রম করেছে।মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দেশটির ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউনের ৩৫তম দিন পূরণ হলো। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও ঠিক ৩৫ দিন পর্যন্ত অচল ছিল সরকার। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিদিনই এর প্রভাব বাড়ছে। দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে, বিমানবন্দর থেকে সামরিক বাহিনী পর্যন্ত ফেডারেল কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না, আর সরকারি অর্থনৈতিক তথ্যপ্রবাহ বন্ধ থাকায় অর্থনীতি কার্যত অন্ধভাবে চলছে।
শাটডাউনের প্রভাবে পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও খারাপ হচ্ছে। সরকারি খাদ্য সহায়তা হয় হ্রাস বা পাচ্ছেনই না দরিদ্র মার্কিনিরা। আর বিমানবন্দরের সাধারণ কর্মী থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এমনকি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পর্যন্ত, সরকারের বহু স্তরের কর্মীরা বেতন ছাড়াই ভূতের বেগার খেটে মরছেন। সরকারি কার্যালয়ে স্বল্পমেয়াদি চুক্তিভিত্তিক অনেক কর্মী বেতন না পেয়ে ইতোমধ্যে বিকল্প কাজে সন্ধানে নেমেছেন।ফলে বিভিন্ন সরকারি কাজে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে, যেমন ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন সিনেট ইতোমধ্যে প্রতিনিধি পরিষদে পাশ হওয়া অন্তর্বর্তী বাজেট বিলের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি ভোট দিয়েছে।৫৩ জন সিনেটর নিয়ে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও, বেশিরভাগ বিল পাশের জন্য অন্তত সাতজন ডেমোক্র্যাটের সমর্থন প্রয়োজন।প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যবিমা ভর্তুকি হ্রাসের শর্তে ভোট দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন ডেমোক্র্যাটরা।
সিনেটের রিপাবলিকান নেতা জন থুন অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটদের শাটডাউনে ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রশ্ন হলো, তারা কতদিন এভাবে চলবে? এক, দুই নাকি তিন মাস?
অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার মন্তব্য করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউজের বাথরুম সংস্কার নিয়ে বড়াই করছেন, তখন সাধারণ মার্কিনিরা আগামী বছরের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে চিন্তায় অস্থির হয়ে আছেন।
এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনেটের কয়েকজন জানিয়েছেন, দুই দলের মধ্যে গোপন আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি হতে পারে।১৯৮১ সালের পর এটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম শাটডাউন। তবে এর সময়কাল ও চরিত্র আগের ঘটনাগুলোর থেকে ভিন্ন।সাধারণত রিপাবলিকানদের কারণেই আগের শাটডাউনগুলো ঘটেছে। এবার ডেমোক্র্যাটদের চাপে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যত বন্ধ।