অফিস ডেস্ক
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক বাবা জিল্লুর রহমানকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার সান্তাহার লকু সিভিল পশ্চিম কলোনী নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জিল্লুর রহমান ওই গ্রামের মহুবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫বছর আগে জিল্লুর রহমানের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আদমদীঘি উপজেলার মালশন গ্রামের বাবুর মেয়ে সুমি ওরফে মুন্নিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহন করে। এরপর স্বামী জিল্লুর রহমান দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। বর্তমানে ভিকটিম ওই মেয়ের বয়স ১৪বছর।
গত রবিবার ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় তার মেয়েকে নিয়ে মা তার বাবার বাড়ি মালশন গ্রামে বেড়াতে যান। পরদিন গত সোমবার বিকেলে ওই মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে মা সুমি ওরফে মুন্নি বেগন একটি এনজিও থেকে টাকা উঠানোর জন্য নওগাঁ শহরে যান।
মেয়ে বাড়িতে একা থাকার সুযোগে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার বাবা শয়ন ঘরে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি তার চাচাতো ভাই মানিককে জানালে স্থানীয় লোকজন ঘটনার জানতে পেরে হৈচৈ শুরু করেন। এসময় চাচাতো ভাই জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনার বিষয় জানালে আদমদীঘি থানা ও সান্তাহার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ষক জিল্লুর রহমানকে আটক করেন।
এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে আদমদীঘি থানায় ভিকটিমের মা সুমি ওরফে মুন্নি বেগম বাদি হয়ে স্বামী জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে ভিকটিমকে ডাক্তারী পরিক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহনের জন্য ও অভিযুক্ত জিল্লুর রহমানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আবু মুত্তালিব মতি,আদমদীঘি বগুড়া প্রতিনিধি