অফিস ডেস্ক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:-অবশেষে কয়েকমাস পর সমিতির লাইফ মেম্বারদের নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা ও আইনগত পদক্ষেপের পর শতোর্ধ্ববর্ষী ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রতিষ্ঠান “চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা” কার্যালয়ে কর্মমূখর পরিবেশ ফিরে এসেছে।একটি কুচক্রি মহলের লোভ ও ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিলো।এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমিতির প্রকৃত সদস্যদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছিলো।
ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রতিষ্ঠান “চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র সুনাম ও ঐতিহ্য নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে একটা চক্র সমিতির কার্যালয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে সমিতির স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ্য করে আসছিলো।দিনের বেলায় কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী ভবনের নীচে অবস্থান করে এবং রাতে সমিতির কার্যালয়ে অবৈধ অনু্প্রবেশকারীরা রাতযাপন করার তথ্য পাওয়া গেছে।তাছাড়া, সমিতির প্যাড ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করার ও সমিতির মানি রিসিপ্ট ব্যবহার করে ভবনের ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করারও তথ্য মিলেছে।
সমিতির বৈধ কমিটির সদস্য ও আজীবন সদস্যরা এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত।কুচক্রি মহলের অন্যায় ও অনিয়মের বিপরীতে চট্টগ্রাম সমিতির জীবন সদস্যরা অত্যন্ত ধৈয্যের সাথে নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম ও আইনগত প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি মোবাবেলা করে গিয়েছে ,তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১২.১০.২৫ইং শাহবাগ থানায় ৬জনকে মূল আসামী করে ও অজ্ঞাত প্রায় ৫০জনকে অজ্ঞাত হিসেবে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।একই দিন দুপুর দুইটাই একটা প্রেস কনফারেন্স করা হয়।অভিযোগে এবং প্রেস কনফারেন্সে সমিতির নেতৃবৃন্দ পুরো বিষয়গুলো তুলে ধরে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করে। প্রেস কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকগন চট্টগ্রাম সমিতি কার্যালয় পরিদর্শন করে সমিতি নেতৃবৃন্দের দাবির সত্যতা পেয়েছে যা বিভিন্ন গনমাধ্যমে এসেছে।
সমিতির জীবন সদস্যদের নিয়তান্ত্রিক কার্যক্রমে গতকাল থেকেই বহিরাগত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। অতঃপর, ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অদ্য ১৩.১০.২৫ইং সকাল ৯.০০টায় সমিতির জীবন সদস্যরা অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবীতের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের জন্য একত্রিত হতে থাকলে ভবনের ভিতরে থাকা বহিরাগতরা পালিয়ে যায়। অতঃপর, সমিতির জীবন সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফাঁকা ভবনে প্রবেশ করে স্বাভাবিক কর্মকান্ড শুরু করে।
দীর্ঘদিন পর সমিতি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পেরে ও স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ পেয়ে সমিতির অনেক নিবেদিত প্রাণ সদস্য আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তারা দৃঢ়চিত্তে ঘোষণা দেন যে এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান, আমাদের সম্পদ, আমাদের এই সম্পদ আমরা কোনোভাবেই আর কোনো দখলদারের হাতে যেতে দিবো না।
অফিসের স্বাভাবিক কর্মমূখর পরিবেশে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার নেতৃবৃন্দ একটি জরুরী মিটিং এ বসেন। মিটিং-এ শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে পূর্বঘোষিত অনুষ্ঠান "নিপীড়ন বিরোধী দিবস" উদযাপনের অংশ হিসেবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনটি চট্টগ্রাম সমিতি কার্যালয়ে উৎযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এদিকে সমিতির নবগঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের রুটিনমাফিক কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী’র সমিতি কার্যালয় কাজের পরিবেশ তৈরি হওয়ার সংবাদে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং আগামীকাল থেকেই নির্বাচন কমিশনের রুটিনমাফিক কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাস অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্যের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।আর্থিকভাবেও সমিতি ভীষণরকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গিয়েছিলো। যারা সমিতির কাছ থেকে নিয়মিত সাহায্য সহযোগিতা পেতো তারাও বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষতি খুব সহজে পুষিয়ে নেয়ার মতো নয়। তবে, সমিতির নিবেদিন প্রাণ জীবন সদস্যরা প্রাণপন চেষ্টা করে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী মুকুল,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা।