অফিস ডেস্ক
এস এম দৌলত জেলা প্রতিনিধি,বগুড়া:-আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত ব্যাপক আলোচনা চলছে।
এই আসনে আলোচনায় রয়েছেন চারজন অভিজ্ঞ ও জনপ্রিয় নেতা — আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ ফজলে রাব্বি তোহা, আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান এবং অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম। প্রত্যেকে ত্যাগ, নেতৃত্ব ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য সুপরিচিত।
আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ ফজলে রাব্বি তোহা এরশাদবিরোধী আন্দোলন থেকে রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ছাত্রদল খুদে কর্মী হিসেবে পথচলা শুরু করেন। ৩৫ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি বগুড়া-৪ আসনে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তিনি বর্তমানে সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, কেন্দ্রীয় কমিটি। এছাড়াও তিনি ছিলেন সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, কেন্দ্রীয় কমিটি, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বগুড়া জেলা শাখা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, বগুড়া জেলা শাখা, সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা, সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা, বগুড়া, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, কেন্দ্রীয় কমিটি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামাদল, বগুড়া জেলা শাখা, এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা, বগুড়া।
ফজলে রাব্বি তোহা ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন। অন্যান্য বঞ্চিত প্রার্থীরা তখন মাঠ ছেড়ে চলে যান, কিন্তু তিনি একমাত্র বঞ্চিত ব্যক্তি যিনি মনোনীতদের সাথে থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই সাহসিকতা ও দলপ্রতি অঙ্গীকারের কারণে তিনি জনগণের কাছে একজন নিবেদিতপ্রাণ বিএনপি কর্মী হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ঝুঁকি ও বিপদের অভাব নেই। ১/১১-এর সময় তিনি তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন এবং দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সাহসী নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। তিনি অমানবিক নির্যাতন সহ্য করেছেন, বিশটিরও বেশি মামলা মোকাবিলা করেছেন, পাঁচ-ছয়বার কারাবরণ করেছেন এবং প্রায় উনিশ মাস কারাগারে কাটিয়েছেন।বাড়ির মালামাল ক্রোক হয়েছে, জীবনের হুমকি ও ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন। এসব নির্যাতন তাঁকে কখনো দমিয়ে রাখতে পারেনি, বরং তার রাজনৈতিক দৃঢ়তা ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ আরও দৃঢ় করেছে।
আলহাজ্ব মোঃ মোশাররফ হোসেন সাবেক সংসদ সদস্য। বর্তমানে তিনি বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।দীর্ঘদিন ধরে তিনি কাহালু-নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম, দলের দুঃসময় কিংবা বিপদের মুহূর্তে তিনি সবসময় কর্মীদের পাশে ছিলেন।
কৃষক ও সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা তাঁকে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মোশারফ হোসেন পুনরায় মনোনয়ন পেলে বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির শক্ত অবস্থান নিশ্চিত হবে।
মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান একজন সংগ্রামী ও ত্যাগী নেতা। ২০০৬ সালে আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে তাঁর মাথায় গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। ২০০৭ সালের ১/১১ সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেও তিনি ছাত্রদলের নেতা হিসেবে রাজপথে নেতৃত্ব দেন। তখন আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী তাঁকে লক্ষ্য করে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়, এতে তাঁর একটি পা ভেঙে যায়। ২০১৩ সালের শেখ হাসিনা সরকার হটাও আন্দোলনের সময় বগুড়া সদর থানার সামনে পুলিশের গুলিতে তাঁর এক চোখে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি আবারও রাজপথে ফিরে আসেন। তার নির্ভীক নেতৃত্ব, মানবিক কর্মকাণ্ড এবং কর্মীদের পাশে থাকার মানসিকতা তাঁকে তৃণমূল বিএনপির কাছে সংগ্রামের প্রতীক করে তুলেছে।
অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম একজন শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বর্তমানে তিনি কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, সাবেক সদস্য সচিব, এবং সাবেক আহ্বায়ক, কাহালু উপজেলা যুবদল। এছাড়াও তিনি কৈচড় টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ, বগুড়া সদর-এর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান (কারিগরি) পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব এবং রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা তাঁকে স্থানীয় জনগণের কাছে প্রিয় ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ফজলে রাব্বি তোহা, মোশারফ হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন মিজান এবং অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম—এই চারজন নেতাই তাঁদের নিজ নিজ ত্যাগ, নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা দিয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের রাজনীতিকে গতিশীল করেছেন। তারা প্রত্যেকে জনগণের কল্যাণ, দলের শক্তিশালী অবস্থান এবং দেশের গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, এই চারজনই বগুড়া-৪ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাহস, দৃঢ়তা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রতীক।