বগুড়ায় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করার অভিযোগ

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিনারা খাতুনের বিরুদ্ধে
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৭:৩৪
photo

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক মামলা ও নানা হুমকি দিয়ে একটি পরিবারকে জিম্মি করেছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর অধ্যাপক ড. মোছাঃ মিনারা খাতুন। 

 

সেই সময়ের প্রভাবে জেলার ডিসি ও এসপিরা ছিলেন তার পকেটে। তিনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হলেও পুরো ১৬ বছর সময় কাটিয়েছেন বগুড়ায়। বগুড়ার সনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে জিম্মি করে তাদের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য একের পর এক নাটক সাজিয়েছেন। ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে 

 

জোরপূর্বক রাস্তা করার পাঁয়তারাও করছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় অধ্যাপক ড. মোছাঃ মিনারা খাতুন গত ২৮ সেপ্টেম্বর মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। যা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ছোট বেলাইল এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ বোরহান উদ্দিন। 
 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বগুড়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ছোট বেলাইল গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও আব্দুস সামাদ এর নিকট থেকে পৃথক দুইটি দলিল মূলে ১৮.২৫ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করি। ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বাড়ীঘর ও বাগান তৈরি করে বসবাস করে আসছি। আমার সাথে উল্লেখিত ব্যক্তিদের কোন বিরোধ নেই। অথচ তাদের ভাতিজি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর অধ্যাপক ড. মোছাঃ মিনারা খাতুন গত কিছু দিন যাবৎ আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর দিয়ে জোরপূর্বক যাতয়াতের রাস্তা তৈরি করার পাঁয়তারা করছেন। তিনি গত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে নিজের পদ-পদবি বাগিয়ে নেন।

 

 বগুড়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর প্রভাব দেখিয়ে আমার জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা বের করার জন্য বিভিন্ন যড়যন্ত্র করেছেন। তিনি একজন সরকারি চাকুরীজীবী হয়ে ন্যায়ের পথে না থেকে অন্যায় দাবি করে যাচ্ছেন। যা এলাকার সবাই জানেন। ইতিমধ্যে তিনি বগুড়ার পুলিশ প্রশাসন, পৌর প্রশাসন এবং আদালতকে ব্যবহার করে ব্যর্থ হয়েছেন। সেইসাথে তিনি সন্ত্রাসীবাহনী দিয়ে হয়রানি করতেও বাদ রাখেননি। এতোকিছুতেও সফল হতে না পেরে অবশেষে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। 
 

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি নতুন করে অভিযোগ তোলেন যে, আমার সম্পত্তির উত্তর পাশে তার নিজের এবং তার এক ফুফুর সম্পত্তির মধ্য থেকে একটি রাস্তা বের করতে বাধা দিয়েছি। প্রকৃত সত্য হলো-আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তির সাথে তার ও তার ফুফুর সম্পত্তির অবস্থান এক নয়। তার সম্পত্তি থেকে বের হওয়ার জন্য আগে থেকেই পৃথক রাস্তা রয়েছে। এটা এলাকাবাসী সবাই জানেন। 

 

বগুড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষও জানে। সম্প্রতি ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চারলেন হওয়ার পর এবং ফ্লাইওভারসহ অন্যান্য উন্নয়ন স্থাপনা গড়ে উঠায় জায়গা-জমির মূল্য আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে তার ব্যক্তিস্বার্থে তিনি আমার ক্রয়কৃত জমি, একটি গরুর খামার ও প্রাচীর ঘেরা বাগানের মধ্যদিয়ে রাস্তা বের করে দেওয়ার জন্য অন্যায় দাবি করছেন। তিনি মনে করছেন এই দাবির প্রেক্ষিতে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা লাভ করবেন। আমি তার এই অন্যায় দাবি মেনে নেব না।
 

বোরহান উদ্দিন বলেন, অধ্যাপক ড. মোছাঃ মিনারা খাতুন এর দায়ের করা পৌরসভায় অভিযোগ এবং আদালতে মামলার বিষয়ে আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইনগত লড়াই করে যাবো। আদালত যে রায় দেবে আমি মাথা পেতে নিব। কিন্তু এর বাইরে তিনি যেন আমাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করতে না পারে এজন্য আমি প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।  
 

শেয়ার করুন