পলাশবাড়ীতে এবার ৫৭পূজামন্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গাপূজা উদ্যাপনে প্রশাসনের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৬:৫৭
photo

পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:- গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এ বছর ৫৭ পূজামন্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয়দূর্গোৎসব পালনে প্রশাসন সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করেছেন। বেশির ভাগ পূজামন্ডপ ঘুরে  দেখা যায় প্রতিমা সমূহে চলছে রং-তুলিসহ শেষমূহুর্ত্বের কারু কাজ।শিল্পীর হাতের রং-তুলিরআঁচর। 

 

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে বাঁশ-কাঠ, খড়-সুতলি আর কাঁদামাটি দিয়ে শুরু হয়প্রতিমা তৈরির কাজ।রাত পোহালেই  সোমবার (২৮সেপ্টম্বর) পূজা শুরু। কয়েকদিন আগে থেকেই দিন-রাত লাগাতার ব্যস্তসময় কাটছে প্রতিমাশিল্পীদের। উপজেলা সদরসহ প্রায় প্রতিটি পূজা মন্ডপ’ই কংক্রিট ইটের তৈরী। বাৎসরিক পূজাউদযাপনে হাতেগোনা কয়েকটি মন্ডপ অস্থায়ী ছাউনি ঘেরা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।পূজামন্ডপচত্বর জুড়ে নানা রংযের রঙ্গিন কাপড়ের ডেকোরেশনে দৃষ্টি নন্দন করে তোলা হয়েছে।এখন প্রতিমা আসনের স্থানসাজানো হচ্ছে।

 

২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠমীর মধ্যদিয়ে বিশ্ব শান্তির কল্যাণে সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজায় দেবীকে আসনে রাখা হবে বলে জানানপুজারি-ভক্তবৃন্দ।প্রতিমা তৈরির কারিগরশ্রী খোকন চন্দ্র মালাকার জানায়, অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে প্রতিমাগুলো তৈরী করা হয়েছে।দেশী-বিদেশী রং-তুলির বর্ণিল আঁচর শেষে দেব-দেবীর শরীরে চলছে জামা কাপড়সহঅলঙ্কার-গহনা পড়ানোর কাজ।

 

পূজা প্যান্ডেল আলোকসজ্জার জন্য লাগানো হচ্ছে নানা রংয়েরবৈদ্যুতিক বাতি। প্রতিমা তৈরীর শিল্পী প্রদীপ মালাকার জানান, প্রায় মাসখানেক আগে থেকেপ্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেছেন তারা। এবছর প্রতিকূল আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিমাতৈরীতে কোন বিড়ম্বনা দেখা দেয়নি।এদিকে; ১টি পৌরসভা এবংউপজেলার ৮ ইউনিয়নে মোট ৫৭ মন্ডপে আনন্দঘন পরিবেশে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হতেযাচ্ছে।

 

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ উপজেলা শাখার সভাপতি বাবু দীলিপ চন্দ্রসাহা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনেইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তারা পূজা চলাকালীন উপজেলার সর্বত্র সার্বিকআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ সার্বক্ষনিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানান।উপজেলা নির্বাহী অফিসারনাজমুল আলম জানান, সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। মন্ডপসমূহে নির্বিঘেœ পূজা উদ্যাপন করতে পারে সেজন্য প্রতিটি পূজামন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরপাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক টিম নিয়োজিত রয়েছে।থানা অফিসার ইনচার্জমো. জুলফিকার আলী ভূট্টো গতকাল শনিবার রাত ১০ টায় শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ ও কালি মন্দিরেপরিদর্শন কালে বলেন, প্রতি বছরের মত এবছরও শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে সকল ক্রিয়াকর্ম যেনসুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ সবধরনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

পুলিশেরপাশাপাশি র‌্যাব-আনসার ভিডিপি সদস্য ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা মন্দিরচত্বরে নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। ফলে উপজেলার সকল পূজামন্ডপসমূহে সুষ্ঠু-নিরবিচ্ছিন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।বিজয়া দশমীতে দেবীদুর্গাকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে বিসর্জন দেওয়ার আহ্বান জানান শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ ওকালি মন্দিরে প্রতিষ্ঠাতা হরিদাস চন্দ্রবাবু । 

শেয়ার করুন