গোবিন্দগঞ্জে গৃহবধুর গলা কাটা লাশ উদ্ধার

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৪:০৭
photo

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ-গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিউলী বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ওই গৃহবধুর স্বামী ফরিদ উদ্দীনের বিরুদ্ধে।

‎শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার টাওয়ার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

‎খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ফরিদের বাড়ির পাশের কলাবাগান থেকে শিউলীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

‎নিহত শিউলী বেগম ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফরিদ উদ্দীনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনী এলাকার শরীফ মিয়া ড্রাইভারের মেয়ে।‎তাদের সংসারে একটি ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।

‎নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন।

‎নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়া ড্রাইভার ও স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলীকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়েছে ঘাতক ফরিদ।

‎গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য রবিবার সকালে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

‎নিহতের গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দীন ঘটনার পর থেকে পলাতক।তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

শেয়ার করুন