অফিস ডেস্ক
আশিক সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার,বগুড়াঃ- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল হঠাৎপাড়ার "মিম"(ছদ্মনাম) নামের এক তরুনীকে আটকিয়ে রেখে বিয়ের প্রলোভনে প্রায় এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মোকাদ্দেস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী তরুণী।তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক ও পাশাপাশি টুপি বানিয়ে মহিলাদের দিয়ে বিক্রি করান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার বাসিন্দা।তারা একে অপরের সুপরিচিত।মুক্তাকে খুব পছন্দ করতেন মোকাদ্দেস।কয়েকবার তাকে এবং তার বাবা-মা কে ভুক্তভোগীকে বিষয়ে প্রস্তাবনাও দিয়েছেলেন মোকাদ্দেস।তিনি একই এলাকার মইনুদ্দিনের পুত্র।তবে মোকাদ্দেস ০৩ সন্তানের জনক হওয়ায় প্রস্তাবে রাজি হয়নি ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
তারা আরো বলেন, মোকাদ্দেস ভুক্তভোগী তরুণীকে টাকা পয়সা অর্থ সম্পদের প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর আগে তরুণীকে নিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান।তবে ঢাকা থেকে এক বছর পর তরুণীকে নিয়ে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন মোকাদ্দেস।তবে ফিরে সে ঐ তরুণীকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দিতে চাইলে শুরু হয় বিপত্তির।তরুণী স্ত্রীর দাবি নিয়ে হাজির হয় মোকাদ্দেসর বাড়িতে।তরুনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন মোসাদ্দেক।অতঃপর বিষয়টি শেরপুর থানা পুলিশ অবগত হলে,এস আই সিয়াম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তরুণীকে ও মোসাদ্দেকে থানার নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিম(ছদ্মনাম)একটি ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে "দৈনিক আমার ভাষা" কে বলেন,অনুমানিক প্রায় ১ বছর আগে আমি আমার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আশায় পথিমধ্যে মোকাদ্দেস সহ আরো ০৩-০৪ জন লোক পথ রোধ করে আমাকে মোকাদ্দেসর সাথে ঢাকায় যেতে।সে তার আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করবে।সে ঐ দিন আমাকে নিয়ে ঢাকায় বাসাবোতে একটি ভাড়া বাসায় উঠেন।অতঃপর সে আমার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী যেভাবে থাকে সেভাবে থাকতে শুরু করেন।তবে বিপত্তি ঘটে যখন আমি তাকে বারবার বিয়ের চাপ প্রয়োগ করতে থাকি।তখন তিনি আমাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেন।এবং সে আমার কাছে থেকে মুঠোফোন নিয়ে নেয় যেন আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারি।অতঃপর নিজ এলাকায় ফেরার পরে বারংবার আমি তাকে বিয়ের কথা বল্লে,তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।অতঃপর আমি আমি বিয়ের দাবিতে মোকাদ্দেসের বাড়িতে অবস্থান নিলে, মোকাদ্দেস কৌশলে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমরা গত ০১ বছরের পর মেয়ের সন্ধ্যান পাই!!আমরা বিগত দিনে অনুমানের উপর ভিত্তি করে কয়েকবার মোকাদ্দেস কে আমাদেআর মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে। এবং এ বিষয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ হয়েছে।তবে আমার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক সিয়াম তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন এবং থানায় মামলা দায়ের না করে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে আমাদের কে বাসায় ফিরে যেতে বলেন।
এই বিষয়ে শেরপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোঃসিয়াম হোসেন বলেন, আমি গতকাল জরুরী ডাউটিতে ছিলাম,মেয়ের মা বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বভার আমার উপরে ন্যাস্ত হয়।আমি উক্ত মামলার তদন্ত শেষে বাদী কে জিজ্ঞাসা করি আপনারা এ বিষয়ে মামলা করবেন কিনা তখন তারা এই বিষয়টিতে অসম্মতি জানান।তখন অফিসার্স ইনচার্জের অনুমতিক্রমে অভিযোগকারী বাদীর কাছে থেকে জিম্মা নামা গ্রহণ করে তাদের মেয়েকে তাদের বুঝিয়ে দেই।থানায় সামনাসামনি কখনো দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিচার অথবা মীমাংসার কোনো ঘটনা ঘটে নাই।
এ বিষয়ে বগুড়া শহরের সচেতন মহল মনে করেন, একহাতে কখন তালি বাজে না!!তালি বাজানোর জন্য দুইটি হাতের ই প্রয়োজন হয়।তবে উপরুক্ত অভিযোগ দৃঢ় ভাবে আমলে নিয়ে,তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।মোসাদ্দেকের মতন দুঃচরিত্রের পুরুষের জন্য কলঙ্কিত হয় সমগ্র পুরুষ জাতি এবং এদের জন্যই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সুখে তৈরি সাজানো সংসার!!
(চলবে)