পলাশবাড়ীতে পানাফুলে খাল-বিল সেজেছে নবরূপে

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২১ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৯:৩২
photo

পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীতে বিভিন্ন এলাকার মাঠে রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল। এরই মধ্যে এসব জলাশয় রাঙিয়েছে পানাফুল। এসব ফুটন্ত ফুলে মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারীরা। যেন প্রকৃতি সেজেছে নবরূপে। এই রূপের টানে শিশু-কিশোররা ছুটছে সেই বিলে।  

 

পলাশবাড়ীর মহদীপুর ইউনিয়নের দূর্গাদাহ ও কুশুম বিলে দেখা গেছে- পানাফুলের শুভ্রতা। এই ফুলের সৌন্দর্য প্রকৃতিতে যোগ করেছে নান্দনিকতা। এখানে বেশ কিছু কিশোর ওই সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে আপন খেয়ালে ছিঁড়ছিল এসব কচুরিপানার ফুল।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যায়, শুধু দূর্গদাহ ও কুসুম বিলেই এই চিত্র নয়, পলাশবাড়ী  উপজেলার আরও অনেক খাল-বিলে এখন কচুরি ফুলের সমাহার।

 

খানে পানির ওপর বিছানো সবুজ পাতার ফাঁকে নয়নাভিরাম দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। দূর থেকে মনে হয় কেউ যেন সবুজ চাদরে ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে। এসব জলাশয়ে ফুটন্ত ফুল ফুটে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা।

 

দূর্গদাহ বিলে সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসে আবু বক্কর নামের এক শিশু শিক্ষার্থী বলে, এই হেমন্তে ফুটন্ত কচুরিপানা ফুল দেখে বেশ মুগ্ধ হয়েছি। খানিকটা দাঁড়িয়ে যেন হারিয়ে গেছি প্রকৃতির রূপে। বাধ্য হয়ে গলা পানিতে নেমে বেশ কিছু ফুল সংগ্রহ করেছি।  
 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কচুরিপানা এক প্রকার ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। বর্ষাকালে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় ভরিয়ে তুলে। বাংলাদেশে কচুরিপানা একটি আগাছা। যা জম্মায় খাল-বিলসহ বদ্ধ জলাশয়ে।

 

গাইবান্ধার কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রব সরকার বলেন, কৃষিক্ষেত্রে কচুরিপানার যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। এ আগাছা থেকে এখন জৈব সার তৈরি হয়। এই সার প্রয়োগে কৃষকরা অধিক ফলন ঘরে তুলছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

শেয়ার করুন