অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৯ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ০৮:০৪
্আবু ইউসুফ নওগাঁ প্রতিনিধি :- নওগাঁয় একদিনে শিশুসহ ৪ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলার রানীনগর, সাপাহার, পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় এসব মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সকালে রানীনগর উপজেলার পারইল গ্রাম থেকে মেহেদী নামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মেহেদী পারইল গ্রামের মোখলেছার রহমানের ছেলে।
মেহেদীর দুলাভাই কামাল হোসেন জানান, কিছুদিন থেকে মেহেদী ও তার স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গতকয়েকদিন আগে মেহেদীর স্ত্রী ঝগড়া লেগে বাবার বাড়িতে চলে যায়। মেহেদী প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে পরিবারের অন্যদের সাথে ঘুমিয়ে যায়। সকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড় থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সাপাহারে বাড়ি থেকে নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর নুরল ইসলাম নামে ৭৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম নূরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার পিছল ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজির উদ্দিনের ছেলে।
নুরুলের পারিবার জানায়, গতকাল বুধবার ফজরের নামাজ পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান নুরল ইসলাম। বেলা বাড়লেও বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা বুধবার সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা গ্রামের পাশের একটি খালে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, জেলার পোরশা উপজেলার ছাউড় ইউনিয়নের কুসার পাড়া গ্রাম থেকে ৯ বছরে কন্যা শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। পুলিশের ধারণা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এছাড়া জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। এনজিওর ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা গ্রামবাসীর। তবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনাগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জানায়, মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।