বরিশালে যুবলীগের চিহ্নিত কয়েক সদস্য এখন যুবদলে সক্রিয়


স্টাফ রিপোর্টার:- যুবলীগের সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে যুবদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উলফাত রানা রুবেল (৪৫)। ৫ আগস্টের পর রুবেল নগরীর ১ নং ওয়ার্ড কাউনিয়া সোনালী আবাসের সামনে সরকারি জমিতে বিএনপির অফিস বসিয়েছে।

 

 অফিস কার্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর ছবি ঝুলিয়ে যুবলীগের সক্রিয় কর্মীদের উলফাত রানা রুবেল প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি সহ এলাকায় মাদকের আড্ডার পাশাপাশি নানা অপকর্ম করার অভিযোগ উঠেছে।

 

যুবদল নেতা রুবেলের বাবা হারুন ওরফে চাডা হারুন পূর্বে আ.লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ফুফা হলেন- ১নং ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলার মো. আমির বিশ্বাস এবং বিশ্বস্ত আস্থাভাজন ছিলেন বরিশাল-৫ আসনের সাবেক এমপি জেবুন্নেছা আফরোজের। তাই আ.লীগ শাসনামলে যুবদল নেতা রুবেল কোনো হামলা মামলার শিকার তো দূরের কথা হয়রানীও হননি।  

 

এই রুবেলের বিশ্বস্ত সহযোগী হলেন- যুবলীগের সক্রিয় কর্মী মানিক, রাজিব, রিন্টু, শাহিন গাজী ও অপু সহ প্রায় এক ডজন। আ.লীগ শাসনামলে রুবেলের মতই তার সহযোগীরা সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। 

 

রুবেলের সহযোগীরা বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত ও সাদিক আবদুল্লাহ সহ বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতা অসীম দেওয়ান, রইজ আহম্মেদ মান্নার সাথে আ.লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আবার কেউ আ.লীগ নেতা কর্মীর ছবি দিয়ে ব্যানারও টানিয়ে ছিল।

 

প্রাথমিক অনুসন্ধানেই উঠে এসেছে, নগরীর ১, ২, ৩ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বর্ডার সীমান্ত এলাকায় উলফাত রানা রুবেলের ব্যাপক চাঁদাবাজির তথ্য। ৩ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. শাহিন সরদারের বলেন, আমার কাছে ১২ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে উলফাত রানা রুবেল ও তার ফুফাতো ভাই রিন্টু।

এক ভিডিও বক্তব্যেতে ফরি ও তার স্ত্রী রানি বলেন, আমরা ভাঙারি ব্যাবসা করে জীবনযাপন করে আসছি। এই ব্যাবসা করতে হলে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। পরবর্তীতে জোরপূর্বক উলফাত রানা রুবেল ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় রুবেল, মানিক, রাজিব।  

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউনিয়া হাউজিং সংলগ্ন শেরে-ই বাংলা স্কুলের শিক্ষক ইব্রাহীমকে পরিকল্পিত ঘটনা সাজিয়ে ফাঁদে ফেলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছে উলফাত রানা রুবেল। যা এলাকার সিংহভাগ মানুষই জানেন। শিক্ষক ইব্রাহীম বলেন, কেউ হয়ত আপনাকে ভুল তথ্য দিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজনে জানিয়েছেন, মানসম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি শিক্ষক ইব্রাহীম। ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী অলির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রুবেল বাহিনীর বিরুদ্ধে।

 

বিসিসির সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সময় যে সকল জমিগুলো বরাদ্দ হয়েছিল সেই সকল সিংহভাগ জমি উলফাত রানা রুবেলের নিয়ন্ত্রণে। 

 

প্রতিদিন সন্ধ্যার পর কাউনিয়া হাউজিং এর আশেপাশে সহ ময়লা খোলায় জমজমাট হয়ে উঠেছে মাদক ব্যাবসা।

 

স্থানীয় এক সূত্র জানায়, রুবেলের শেল্টারে মাদক ব্যাবসা করছে সুমন ওরফে বাবা সুমন, নয়ন ওরফে বাবা নয়ন, অপু, জাহিদ, শিপন ওরফে গাজা শিপন। এরা জেলহাজতে গেলেও বেড়িয়ে আবারও শুরু করে মাদক ব্যাবসা।  

 

চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উলফাত রানা রুবেল বলেন, ফরি ও তার স্ত্রী রানি নানা অপকর্মে জড়িত। এরা সোনা শাহিন চক্রের গডফাদার এবং জুয়ারি ও মাদক ব্যবসায়ী। আর চাঁদাবাজি ঘটনার অনুকূলে যারা ভুক্তভোগী তাদের কোনো অভিযোগ নেই। সব কিছুই ষড়যন্ত্রমূলক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।


প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকঃ মোঃ নুরুল ইসলাম ওমর, সাবেক এমপি ও বিরোধী দলীয় হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মাক্সুদুল আলম হাওলাদার

নির্বাহী সম্পাদকঃ এম নজরুল ইসলাম

ফোনঃ ০১৭১৭০১৬১৩০

যোগাযোগঃ অফিসঃ সাতমাথা, বগুড়া গাজীপুর অফিসঃ সিলমন, টঙ্গি, গাজীপুর

© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।