অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৩:০০
পলাশবাড়ী(গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ- আশ্বিন মাস ঋতুর শরৎকাল।এ মাসে মূলত হালকা ঠান্ডা অনুভূত হয়। কিন্তু এ বছর পলাশবাড়ী উপজেলাজুড়ে চৈত্রের মতো প্রচন্ড দাবদাহ দেখা গেছে।গত কয়েক দিন ধরে আবহাওয়ার বিরূপ আচরণে এবং প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে - আশ্বিনের তীব্র গরমের ফাঁদে পড়া মানুষের অস্থিরতার চিত্র। এ সময় অনেকে ‘ঘাম ঝরা’ শরীর নিয়ে হাপাচ্ছিলেন। সম্প্রতি গাইবান্ধার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। চরাঞ্চলসহ উপজেলার চারিদিকে যেন খা খা অবস্থা বিরাজ করছে। প্রচন্ড গরমে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষ একটু স্বস্তির আশায় ছুটছেন ছায়াঘেরা ঠান্ডা স্থানে। আবার অনেকে কোমল পানীয় ও আইসক্রিম খেয়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোদে পুড়ছে রোপা আমন খেতসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। অসহনীয় গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ ধরনের বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কোনো কাজেই মনোযোগী হতে পারছে না। অফিস-আদালতের কর্মজীবীদেরও ওষ্ঠাগত অবস্থা। তীব্র গরমের কারণে তারা ঠিকভাবে কাজকর্ম করতে পারছেন না ।
বিশেষ করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা। কাঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থা। এ কারণে থমকে গেছে তাদের জীবনযাত্রা।বিদ্যমান এ পরিস্থিতিতে গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা ও নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে সবাই। তবে গরমের সুযোগে ব্যবসা বেড়েছে কনফেকশনারি দোকানিদের। এসব দোকানে ফ্রিজে রাখা পানীয়, আইসক্রিম, দই, শরবত ও ঠান্ডা খাবার কিনতে ভিড় করছে গরমের কবলে পড়া মানুষেরা।
পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে আসা রিকশা চালক মেহেদী হাসান বলেন, তীব্র গরম আর রোদে গাড়ি চালানো দায় হয়ে পড়েছে। তবুও জীবিকার তাগিদে রিকশা চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু অসহনীয় গরমে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় চিকিৎসক শাহ আলম বলেন, সম্প্রতি আশ্বিনের তীব্র গরমে বেড়েছে রোগবালাই। অনেকে সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
পলাশবাড়ী হাসপাতালে কর্মরত ডা. বাধন জানান, গরমে পানি স্বল্পতাসহ হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তীব্র তাপদাহে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষদের খুব জরুরি কাজ ছাড়া বাহিরে বের না হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।