অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০২:৩৪
স্টাফ রিপোর্টার:- হিংসা ও প্রতিহিংসার জের ধরে প্রতিপক্ষতে ঘায়েল করতে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হবে বলে এলাকায় আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় বইছে। শুক্রবার ও শনিবার (২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর ৩ নং ওয়ার্ড কাউনিয়া হাউজিং এলাকার আশেপাশের চায়ের দোকানে এমন আলোচনার ঝড় বইছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি হয়নি সমালোচনাকারীরা। তবে অনুসন্ধানকালে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন স্থানীয় মো. শাহিন সরদারের ছেলে এমরান সরদার (২৫)।
তিনি বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সদস্য সহ স্বজনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলা সহ পরিকল্পিতভাবে নানান মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রতিপক্ষ। কারণ, এর আগে গোডাউন লুটপাট এবং বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার দায়েরকৃত মামলার আসামিরা যৌথ পরিকল্পনায় এলাকায় থাকা একাধিক তালাকপ্রাপ্ত এক নারী অথবা তার যুবতী মেয়েকে দিয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হবে বলে সম্প্রতি লোকমুখে বিষয়টি আমি শুনেছি। মূলত হিংসা ও প্রতিহিংসার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তারা (আমার দায়েরকৃত মামলার আসামিরা) এ ধর্ষণ মামলা দায়ের করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলিত বছরের ২ মার্চ বিকেল ও সন্ধ্যায় এবং পরেরদিন অর্থাৎ ৩ মার্চ দুপুরে ও রাতে নগরীর কাউনিয়া হাউজিং সংলগ্ন গাউয়াসর এলাকার স্থানীয় মো. শাহিন সরদারের বসতঘর সহ ভাড়াটিয়া ৩ ঘরে আগুন দিয়ে লুটপাটের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। চলিত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নামধারী ২৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনকে আসামি করে বরিশাল মেট্রােপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন শাহিন সরদারের স্ত্রী শাবানা বেগম (৪৫)।
তিনি বলেন, আসামিদের মধ্যে শাহিন গাজী (৪০), উলফাত রানা রুবেল (৪৫), ফরিদা বেগম (৪৮) ও তার মেয়ে মোসা. আঁখি (২০) সহ আরাে কয়েক আসামি মিলে আমার (বাদি) পরিবারের সদস্যসহ স্বজনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলাসহ পরিকল্পিতভাবে নানান মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আর আমার দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।
আবার চলিত বছরের ১৮ মার্চ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর কাউনিয়া হাউজিং সংলগ্ন ময়লা খোলা হোসনাবাদ এলাকায় থাকা শাহিন সরদারের ভাড়া নেয়া গোডাউনে হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাটের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। চলিত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর নামধারী ১৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করে বরিশাল মেট্রােপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন শাহিন সরদারের ছেলে মো. এমরান হোসেন।
তিনি বলেন, আমার দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি উলফাত রানা রুবেল (৪৫) ও শাহিন গাজী সহ অন্যান্য আসামিরা মিলে এবং আমার মায়ের দায়েরকৃত মামলার আসামি ফরিদা বেগম (৪৮) ও তার মেয়ে আঁখির (২০) যোগসাজশে আমাদের পরিবারের সদস্য সহ স্বজনদের বিরুদ্ধে নানান কূট কৌশলে মামলা দায়েরের পরিকল্পনা চলছে। আর আমার দায়েরকৃত মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।
এমতাবস্থায় শাহিন সরদারের স্ত্রী শাবানা বেগম চলিত মাসের ২৪ সেপ্টেম্বর বরিশাল এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নামধারী ১৫ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।