অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ১২:১১
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:- বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে, তবে এরই মধ্যে ফের বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম।বিক্রেতারা বলছে,সরবরাহ কম থাকায় গত সপ্তাহে তুলনায় এ সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজিতিই গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) উত্তাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর মধ্যে পলাশবাড়ী কালিবাড়ি বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন বাজারে দেশি শশা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০থেকে ৯০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, সিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, ফুলকপি পিস ৮০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ও লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জলপাই ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হ”েছ।
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেড়েছে মাছের াম। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, াম বাড়ার কারণে মাছ চাষি থেকে শুরু করে পাইকারি বিক্রেতা সবাই লোকসান আছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হ”েছ ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা কেজি রে। চাষের পাঙাস কেজি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২৫০ থেকে , মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা, িেশ শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি রে বিক্রি হ”েছ। অন্যদিকে জাতীয় মাছ ইলিশের াম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এখন এক কেজির বেশি ওজনের বড় ইলিশ বিক্রি হ”েছ ২২০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকায়। ৫০০ গ্রাম ওজনের ওপরের ইলিশ বিক্রি হ”েছ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়।
তবে আমদানি বাড়ায় বাজারে গত কয়েক সপ্তাহে চালের াম কমেছে। এখন বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকা।বিভিন্ন ব্রান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হ”েছ গড়ে ৭৫-৮০ টাকায়, ব্রি-২৮ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, পাইজাম ৫৮-৬০ টাকা কেজি। স্বর্ণা ও গুটি বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকা কেজি রে বিক্রি হচ্ছে ।বাজারে এখন বেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। রসুন২০০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ সপ্তাহে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়।প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী মশিা বেগম বলেন, “এখন ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যায় না। আমাদের মত নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের জন্য চাহিদা মত মাছ মাংস সবজি খাওয়া কষ্টকর। এখন মাসে একবারও রুর মাংস খাওয়া হয় না। ঐ কোরবানির ঈদে দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আর মাছের ামও বেশি। তাই আজকে বাধ্য হয়ে ডিম নিয়ে যাচ্ছি। সরকারের উচিত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।”
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।