অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৩:২৩
ইয়ামিন হোসেন,ভোলা:-ভোলার দারুল হাদিস কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ও উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আমিনুল হক নোমানী হত্যার অভিযোগ তার একমাত্র ছেলে রেদোয়ানকে (১৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত শাসনে বাবার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিনেমাটিক ভাবে বাবা আমিনুল হককে হত্যা করে রেদোয়ান।
রাতে হত্যা করে দিনে জানাজায় হাজার হাজার মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাইলেন রেদোয়ান।
হত্যার জন্য দারাজ থেকে অনলাইনে ছুরি ক্রয় করেছেন।শনিবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফুল হক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত আমিনুল নোমানীর কড়া শাসনে ছেলে রেদোয়ানের ক্ষুদ্ধ মনোভাব সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় রেদোয়ান। এজন্য বিভিন্ন মুভি (সিনেমা) দেখে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ২ সেপ্টেম্বর দারাজে একটি ধারালো ছুরির অর্ডার করে।ওই ছুরিটি হাতে এসে পৌঁছায় ৫ সেপ্টেম্বর। এর পর সিনেমাটিক স্টাইলে কালো শার্ট, ক্যাপ ও ঘড়ি সংগ্রহ করে মামার বাড়ি থেকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় বাবার পেটে ছুরি চালায় রেদোয়ান।ওই ছুরি তার বাবা ধরে ফেলে, মাফ চেয়ে ছেলের কাছে জীবন ভিক্ষা চান আমিনুল হক। এতে মন গলেনি রেদোয়ানের। সিনেমা দেখে শেখা পদ্ধতিতে বাবার বুকে, পেটে ও ঘাড়ের পিছনে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এসময় ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে ঘরের পিছন দিয়ে বের হয়ে নিরাপদে চলে যায় রেদোয়ান। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি বাড়ির পেছনের খালে ফেলে দেয় সে।
সন্দেহভাজন হিসাবে ১২ সেপ্টেম্বর ভিক্টিমের বড় ছেলে রেদোয়ানুল হককে নিজ বাসা থেকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি পুলিশ উদ্ধার করেছে।আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানান।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।