অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০২:৪৬
আবু ইউসুফ নওগাঁ প্রতিনিধি:- নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পারইল ইউনিয়নের পারইল উচ্চবিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান ফকিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান জাহিদ ফকির ১৫–২০ জন সহযোগী নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বিদ্যালয়ের একটি নতুন দোকান ঘর ভাঙচুর এবং নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত ওয়াক্তা খানায় হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এগিয়ে গেলে তারা সেখান থেকে চলে যান।
বিদ্যালয়ের আয়া মোছা রাবেয়া বসরী বলেন, চেয়ারম্যান নবনির্মিত নামাজের স্থান ও একটি দোকানঘর ভাঙচুর করেন। আমি ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে হামলাকারীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ভেঙে দেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহা অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান ফকির বিদ্যালয়ের সভাপতি হতে না পেরে গত ৮ তারিখে তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে তাঁকে ভারতে পাঠিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তার জেরেই বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের দোকান ঘর ও নামাজের জন্য নিমিত ওয়াক্ত খানায় হামলা হয়।আমি এই ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে জন্য কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন বলেন, জাহিদ ফকির বিএনপির কেউ নন, কেবল নাম ভাঙিয়ে চলেন। বহু বছর বিদ্যালয়ে উন্নয়ন হয়নি। এখন কিছু কাজ শুরু হওয়ায় তিনি বাধা দিচ্ছেন। এক সুস্থ তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।
চাঁদাদাবি ও ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ রহমান বলেন, আমি কোনো ভাঙচুর করিনি। তবে বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি না করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছি।
রাণীনগর থানার ওসি হাফিজ মোহাম্মদ রায়হান বলেন, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।