বগুড়ার শেরপুরের তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ!অনুসন্ধানে মিললো ভিন্ন তথ্য!


আশিক সুজন,ক্রাইম রিপোর্টার,বগুড়াঃ- স্বেচ্ছায় গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী,তবে সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে অবৈধ্য সম্পর্কের অবসান ও সামাজিক ও ধর্মীয় ভাবে স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ।বলছিলাম বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের নাইশিমুল গ্রামের বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী তরুণী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি মোকাদ্দেসের কথা!!
বিয়ের প্রলোভনে আটকিয়ে রেখে প্রায় এক বছর যাবৎ ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন একই এলাকার তরুণী, মোকাদ্দেস নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

 

উভয়েই একই এলাকার বাসিন্দা।অনুসন্ধানে উন্মোচিত হয়েছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।


অনুসন্ধানে জানা যায়, মোকাদ্দেসের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্ষণের শিকার ঐ তরুণীর যোগাযোগ ছিল।এক পর্যায়ে স্বামী বাড়ি থেকে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও মোকাদ্দাসের হাত ধরে পাড়ি জমান ঢাকার বাসাবো এলাকায়।তরুণী প্রাপ্ত বয়স্ক,তাকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় অভিযুক্ত মোকাদ্দেসের পক্ষে।

 

তরুণী নিজের স্বইচ্ছায় মোকাদ্দেসের সঙ্গে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে অনুসন্ধানে।তারা উভয়েই বিবাহিত এবং সন্তানের জনক-জননী।অভিযুক্ত মোকাদ্দেস তিন সন্তানের জনক এবং ভুক্তভোগী তরুণী এক সন্তানের জননী।

 

তবে বিবাহ বহির্ভূত সংসার জীবন চলাকালীন সময়ে ভুক্তভোগী বারংবার বিয়ের চাপ দিতে থাকলে,বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান মোকাদ্দেস।বিপত্তির শুরু এখান থেকেই!!অভিযোগ উত্থাপনকারী তরুণী প্রায় এক বছর যাবৎ অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে ঢাকার বাসাবোতে একটি ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জীবন যাপন করতেন।

 

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তারা ঢাকা থেকে উভয়েই বছর খানেক পরে নিজ এলাকায় ফিরে আসেন।তবে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান আবারো মোকাদ্দেক।মোকাদ্দেস তার প্রথম স্ত্রী কে তালাক দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপন এবং ভরন-পোষন দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন।
 

অতঃপর সংসার করার উদ্দেশ্যে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী ঐ তরুণী।

 

তবে চতুর মোসাদ্দেক সুযোগ বুঝে চলে যায় আত্মগোপনে।তখন ভুক্তভোগীর মা শেরপুরের থানায় মেয়ে কে খুঁজে না পাওয়ার কারণে গত ২২/১০/২৫ ইং তারিখে অনুমানিক বিকাল ০৩.০০ সময়  হারানো অভিযোগ দায়ের করেন।

 

উক্ত অভিযোগে বাদী মেয়েকে জোর পূর্বক আটকায়ে রাখা এবং শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে মোকাদ্দেস কে প্রধান আসামি করে ১০-১২ জন অজ্ঞতানামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিযোগে উল্লেখ করেন।


অনুসন্ধানি দল সংবাদের সত্যতা অনুসন্ধানকালীন সময়ে নাইশিমুল গ্রামে ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর মা এবং অভিযুক্ত মোকাদ্দেস সহ কারো সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়।নাইশিমুল গ্রামে অনুসন্ধানী দলের পৌঁছানোর আগেই আধ্যাত্মিক জ্ঞানের মাধ্যমে আত্মগোপনে চলে যান উভয়পক্ষ!!
 

তবে ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়িতে ভুক্তভোগীর চাচী সালমা বেগমের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ হয় অনুসন্ধানী দলের সদস্যদের।

 

এই বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) মোঃ মঈনুদ্দীন "দৈনিক আমার ভাষা" কে বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা ঘটে ঢাকার বাসাবোতে।তবে ঘটনাটি শতভাগ সত্য।তারা মামলা করতে চাইলে সেখানে যে কোন সময় মামলা রুজু করতে পারেন।তবে বগুড়ার শেরপুর থানার আওতাধীন নয় এলাকাটি।

 

সেক্ষেত্রে আমাদের দৃঢ় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমরা আইনি জটিলতার কাছে অপারক।আর গত ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখে থানা জিম্মানামা গ্রহনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।কে বা কারা,কিসের স্বার্থে এই ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন তা আমার বোধগম্য নয়!!


প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকঃ মোঃ নুরুল ইসলাম ওমর, সাবেক এমপি ও বিরোধী দলীয় হুইপ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মাক্সুদুল আলম হাওলাদার

নির্বাহী সম্পাদকঃ এম নজরুল ইসলাম

ফোনঃ ০১৭১৭০১৬১৩০

যোগাযোগঃ অফিসঃ সাতমাথা, বগুড়া গাজীপুর অফিসঃ সিলমন, টঙ্গি, গাজীপুর

© 71 Vision ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সতর্কতাঃ অনুমতি ব্যতীত কোন সংবাদ বা ছবি প্রকাশ বা ব্যবহার করা যাবে না।