৭১ ভিশন ডেস্ক:- লক্ষ্যটা ১৮৯ রানের।ওভার প্রতি নয়ের বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে হলে চার-ছক্কার ফুলঝুরি প্রয়োজন। কিন্তু হংকং প্রথম ছক্কা পেল ৯তম ওভারে এসে। প্রায় অর্ধেক ইনিংস শেষে পাওয়া ছক্কায় ম্যাচের ভাগ্যও ততক্ষণে ঠিক হয়ে গেছে।
ফল এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ৯৪ রানের পরাজয় দেখেছে হংকং। বিপরীতে বড় জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে আফগানিস্তান। হংকংয়ের প্রথম ছক্কা হাঁকান বাবর হায়াত। লেগস্পিনার রশিদ খানকে হাঁকানোর পর পরে আরো দুটি মেরেছেন দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার।
করিম জানাতে এক ওভারে দুই ছক্কা হাঁকানোর পরের ওভারে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ের পর হংকংয়ের ছক্কার ঘরের দরজাতে তালা লেগে যায়।
হায়াত তিন ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংসটি না খেললে হংকংয়ের পরাজয়টা আরো বড় হতো। কেননা দ্রুত রান তোলার বিপরীতে পাওয়ার প্লেতেই যে ধ্বংসস্তুপে দাঁড়ায় হংকং।
২২ রানে ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে। সেখান থেকে দলের পরাজয়টুকু কমিয়েছেন হায়াত। হংকংয়ের হয়ে আরেকজন ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেছেন। সেই একজন হচ্ছেন দলের অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তাজা। ১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
সবমিলিয়ে ৯ উইকেটে ৯৪ রান করতে পেরেছে হংকং। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব।
এর আগে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও সেদিকউল্লাহ অটলের জোড়া ফিফটিতে ১৮৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান। শুরুতে রান পেতে আফগানিস্তানকে বেশ ভুগতে হলেও শেষ দিকে দলের হয়ে আবুধাবিতে ঝড় তোলেন আজমতউল্লাহ। তাতে শেষ ৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৯৩ রান তোলে আফগানিস্তান। যার ৫৩ রানই করেন ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার।
ক্যারিয়ারের অভিষেক ফিফটি করার পথে পঞ্চম উইকেটে অটলের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ। জুটিটি গড়তে দুজনে বল খেলেন মাত্র ৩৫। ১৯তম ওভারে আয়ুশ শুকলাকে টানা টানা তিন ছক্কা ও এক চার মেরে ফিফটি স্পর্শ করেছেন আজমতউল্লাহ। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করেছেন ২০ বলে। ফিরতি বলে অবশ্য ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। তবে ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ২৫২.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ২ চারে।
আফগানিস্তানের বড় সংগ্রহের অন্যতম কারিগর অবশ্য ওপেনার অটল। চার মেরে দলের ইনিংস শুরু করা বাঁহাতি ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিংটা করলেও সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তিনিই এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করেছেন। অবশ্য তার ৫২ বলের ইনিংসে হংকংয়ের ফিল্ডারদেরও বেশ অবদান রয়েছে। কেননা ৬ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসটি খেলার আগে বেশ কবার পিচ্ছিল হাতের প্রমাণ দিয়েছেন ইয়াসিম মুর্তাজা-শুকলারা। শুধু তার না ম্যাচে বেশকটি ক্যাচ ছেড়েছে হংকংয়ের ফিল্ডাররা। মাঝে ৩৩ রানে একটা ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নবী।
আঁটসাঁট বোলিংয়ে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল হংকং। তবে শেষ দিকে আজমতউল্লাহর ঝড়ে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। হংকংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শুকলা ও কিনঞ্চিৎ সাহা